রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমায় ময়দানে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করতে ঢল নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে একমুখী সড়কে করা হয়েছে ডাইভারসন। যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে মুসল্লিরা চলছেন তুরাগ তীরে। সবার লক্ষ্য ইজতেমা ময়দান। কারও মাথায়, কারও কাঁধে একাধিক ব্যাগ। স্থানীয় মুসল্লিদের হাতে জায়নামাজ।
শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এই পর্বে অংশ নিয়েছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।
কনকনে শীত উপেক্ষা করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সকাল থেকেই ছুটছেন তাবলিগের সবচেয়ে বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশে। সওয়াব হাসিলের আশায় তাবলীগ জামাতের বড় এই আয়োজনে বিদেশের মুসল্লিরাও অংশ নিচ্ছেন।
সড়কে শুধু মানুষ আর মানুষ। তুরাগ তীরে যাওয়ার সড়কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যান চলাচল। সড়কজুড়ে দ্রুত গতিতে হেঁটে চলতে দেখা যায় মুসল্লিদের।
ইজতেমাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাত স্তরে কাজ করছেন পুলিশের প্রায় ৮ হাজার সদস্য। পুরো ইজতেমার মাঠ ঘিরে সক্রিয় র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। পুলিশের নিজস্ব ১৬টি ওয়াচ টাওয়ারসহ র্যাবের নিজস্ব ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো ইজতেমা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও ইজতেমা মাঠের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশের হোন্ডা টিমসহ সাদা পোশাকের পুলিশও কাজ করছে। তুরাগ নদেরও কয়েক জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের সদস্যরা। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
১৭ জানুয়ারি শুরু হবে সাদ অনুসারীদের ইজতেমা। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের দুই গ্রুপের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।